ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

জমির প্রকৃত মালিকদের ক্ষতিপূরণের টাকা বঞ্চিত করার অভিযোগ

বার্তা পরিবেশক :  মহেশখালী মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহনের সময় জমির প্রকৃত মালিকদের বাদ দিয়ে ক্ষতিপূরন নির্ণয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ, আর এস খতিয়ানে নাম থাকলেও  বিএস খতিয়ানে নাম না থাকার অযুহাতে প্রকৃত মালিকদের বাদ দিয়ে কক্সবাজার ভুমি অধিগ্রহন কর্মকর্তা ও সার্ভেয়ারকে হাত করে মোটা টাকার বিনিময়ে স্থানীয় মৃত বদিউর রহমানের পুত্র আবু তাহের গং কৌশলে চেক উত্তোলনের পায়তারা চালাচ্ছে। উক্ত প্রকল্পের ক্ষতিপূরণের টাকা আবু তাহের গংকে না দিতে বিজ্ঞ কক্সবাজার যুগ্ন জেলা জজ ১ম আদালতে অপর ২২৫/২০১৬  চলমান রয়েছে। এলএ ০৪/২০১৩-২০১৪ নং মামলামূলে উক্ত অধিগ্রহনকৃত জমির প্রকৃত মালিকরা যেন ক্ষতিপূরণ পায় সে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদী মৃত আবদুর গনি পুত্র বজল আহমদ।
ভুমি অধিগ্রহন শাখায় বজল আহমদ গং এর দেয়া অভিযোগ থেকে জানা যায়, কালামারছড়া মৌজার আর এস ৫৭৮ নং খতিয়ানের রায়ত আছত আলী,বাচা মিয়া, আশরাফ আলী, ওয়াজ খাতুন, সোনা বিবির জমি ছিল। উক্ত আরএস খতিয়ানের জমি তুলনামূলক বিএস ৬৮৬ নং খতিয়ানে অর্ন্তভুক্ত হয়। সেই খতিয়ানে ভুলে বজল আহমদ গংসহ ওয়ারিশগণ বাদ পড়ে। এ ভুল সংশোধনের জন্য কক্সবাজার যুগ্ন জজ ২য় আদালতে মামলা ১৬০/১৮ চলমান রয়েছে। মামলার কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় আবু তাহের গং এলএ শাখার ভুমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং সার্ভেয়ারকে ৫০/৬০ শতাংশ কমিশন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত অধিগ্রহনের চেক উত্তোলনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গত ১৮ নভেম্বর সার্ভেয়ার জমি পরিমাপ করতে যায় মহেশখালীতে। বাদীকে না জানিয়ে গোপনে জমি পরিমাপ করে আসে বলে অভিযোগ। এমতাবস্থায় অধিগ্রহনকৃত উক্ত তপশিলের ৭ একর ৯২ শতক জমির অধিগ্রহনের চেক মামলা শেষ না হওয়ার আগে যেন উত্তোলন করতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন বঞ্চিতরা।

পাঠকের মতামত: